শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
আব্দুল্লাহ আল মোমিন-
ব্যুরো রাজশাহী
সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাবনার বেড়া উপজেলার কাজিরহাট,আরিচা ও দৌলদিয়া নৌরুটে অবৈধভাবে প্রায় শতাধিক স্পিডবোট প্রতিনিয়ত চলাচল করছে।এরই মধ্যে অনেক বোটের সরকারি অনুমতি ও মেরিন বিভাগের ফিটনেসও নেই।তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা,যমুনা নদীতে দাপিয়ে কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব স্পিডবোট।কাজিরহাট ঘাট থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাটের দূরত্ব নদী পথে ৮-১০ কিলোমিটার।এ দীর্ঘ নৌপথ লঞ্চে পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা,যেখানে স্পিডবোটে সময় ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিট।সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তোলা হচ্ছে স্পিডবোটে।বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কোন নিয়ম তোয়াক্কা না করে বোটের নির্ধারিত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে পদ্মা,যমুনা নদী।অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পার হতে হয় স্পিডবোটে যা টিকিটের উপরে সরকারি ভাড়া উল্লেখ না করে নিজস্ব মনগড়া ভাড়া উল্লেখ করে বিক্রয় করছে তারা।এতে যাত্রীদের টাকার পরিমাণ দিতে হচ্ছে অধীক পরিমাণে ১৭ কিলোমিটারে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কাজিরহাট-আরিচা নৌরুটে লঞ্চের পাশাপাশি দ্রুতগামী স্পিডবোট চলাচল করছে প্রতিনিয়ত।লঞ্চ পারাপারে সময় বেশি লাগার কারণে দ্রুত সময়ে গন্তব্য স্থানে পাড়ি জমাতে স্পিডবোট করে পদ্মা,যমুনা নদী পার হচ্ছে।বর্তমানে কাজিরহাট ঘাটে ৬০টি এবং আরিচায় ৪৭টি স্পিডবোট যার অধিকাংশই মেরিন বিভাগের ফিটনেস নেই।এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র রোড পারমিট না থাকলেও এসব অবৈধ নৌযান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পদ্মা,যমুনা নদীর বুক কিন্তু কর্তৃপক্ষের নজরে আছে কিন্তু ব্যবস্থা নেই।এদিকে অধিকাংশ বোটে জীবন রক্ষাকারী বয়া ও লাইফজ্যাকেট নেই,এতে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি পূর্ণতা নিয়েও পারাপার করছে স্পিডবোটের মালিক কর্তৃপক্ষরা।পুলিশ প্রশাসনের সামনেই এমন কার্যক্রম চলছে।সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটে রাত্রে চলছে স্পিডবোট,এখানেও প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা।